স্বদেশ ডেস্ক:
আজারবাইজানের বাসিন্দা সারভার বেসিরলি। তুরস্কে ভূমিকম্পে ভয়ানক পরিস্থিতি দেখে বসে থাকতে পারেননি তিনি। তাদের জন্য সাহায্য নিয়ে ছুটে যান বিশেষ সহায়তা কেন্দ্রে। সাথে ছোট্ট গাড়িটিতে করে নিয়ে যান ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যা তিনি স্বজনদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেন। আর গাড়ির উপরে লাগিয়ে নেন তুরস্কের একটি পতাকা। তার এই কর্মকাণ্ডে বোঝা যায়, তুর্কি জাতির প্রতি তার ভালোবাসা কতটা! তাদের জন্য কতটা অনুভব করেন তিনি!
সারভার বেসিরলি’র এই ভালোবাসা এখন ভাইরাল! ১৯৮১ সালের ছোট্ট লাল মডেলের গাড়িটির উপরে বাঁধা কম্বল, ব্যাগ, কাপড়-চোপড় ও বক্স-ট্রাঙ্ক! আর চালকের আসনে বসা তিনি।
এই যুবকের জীবনযাপন অতি সাধারণ! একটি খুপরি ঘরে তার বসবাস। কিন্তু মনটা তার অনেক বড়। সোমবার ঘুম থেকে উঠে যখন জানতে পারেন, তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে, তিনি হতবাক হয়ে যান। তারপর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে কম্বল, কাপড় সংগ্রহ করেন। সেগুলো গাড়িতে নিয়ে রাজধানীর বাকুতে সাহায্য সংগ্রহের জন্য তৈরি একটি বিশেষ কেন্দ্রে পৌঁছে দেন।
ডেইলি সাবাহকে সারভার বেসিরলি বলেন, ‘আমাদের ভ্রাতিপ্রতিম দেশ তুরস্কে ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, শুনে বিচলিত হয়ে পড়ি! আমি আমার মা-বাবা হতবাক! আমরা তখন একসাথে স্বজনদের বাড়ি বাড়ি যাই এবং কিভাবে তাদের সাহায্য করা যায় সেই উপায় খুঁজতে থাকি।’
তিনি তখন নিজ বাড়ি, বাবার বাড়ি, আন্টি-কাজিন এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে চাদর-কম্বল-জামা-কাপড় সংগ্রহ করেন। সেগুলো গাড়িতে নিয়ে যখন যেতে থাকেন কেউ একজন সেই ছবি তুলে নেন। যেটি এখন ভাইরাল!
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কে ছবিটি তুলেছেন। আমি জিনিসপত্র বাকুর কেন্দ্রে পৌঁছে ফেরার পর দেখি সবাই আমার ব্যাপারে কথা বলছে।’
সারভার বেসিরলি বলেন, তিনি এখন তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ